স্বদেশ ডেস্ক:
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতা হিটলার চৌধুরী ভলু’র স্ত্রী সুরভী ইসলাম পপিকে (৩৫) গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ২টা ৩০ মিনিটের দিকে শহরের গোলাহাটস্থ ঘোড়াঘাট এলাকার নিজ বাসায় তাকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. হিটলার চৌধুরী ওরফে ভলু চৌধুরী। তার দ্বিতীয় স্ত্রী সুরভী ইসলাম পপি (৩৫), দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে শহরের গোলাহাট ঘোড়াঘাট এলাকার বাসায় থাকেন। প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তিনি যথারীতি বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর তিনি শহরের রসুলপুর এলাকায় নিজ কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। এর মধ্যে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে দুই যুবক হঠাৎ বাসায় ঢুকে ঘুমিয়ে থাকা হিটলার চৌধুরীর ভলু দ্বিতীয় স্ত্রী সুরভী ইসলাম পপির গলায় ধারালো চাকু দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করে। এ সময় তিনি ঘটনাটি বুঝতে পারেন।
এ সময় দুই যুবকের সঙ্গে সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়রের ধস্তাধস্তি হয়। এতে তিনি হাতে আঘাত হন। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ওই যুবক দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনার গুরুতর আহত ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখন তার অবস্থায় শঙ্কামুক্ত বলে হাসপাতালে সূত্রে জানা গেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পপির ছোট মেয়ে তাসফিয়া লাবিবা চৌধুরী অদ্রি (৭) বলে, ‘মায়ের চিৎকারে ঘুম ভেঙে গেলে আমি দেখি; আমাদের পরিচিত জীবন (২১) ও রাজা (১৭) চাকু দিয়ে আমার মায়ের গলা কাটছে। তখন আমি চিৎকার করি। এতে তারা পালিয়ে যায়।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উল্লেখিত এলাকার মো. মুন্নার ছেলে জীবন এবং একই এলাকার মৃত সাগিরের ছেলে রাজা।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল হাসনাত খান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।